[অনিবার্য রাতের দিকে দীর্ঘ দিনের যাত্রা!]
আজ নতুন কিছুই বলতে আসিনি। পুরোনো মদ নতুন বোতলে ঢেলে আর কতদিন নিজেকে চোখ ঠ্যারানো যায়। প্রেমিকার জন্য আবেগ কিম্বা মানবের তরে ভালোবাসার ঝান্ডা উড়িয়ে আজ যারা ছুটিয়েছে সাহিত্যসভার কাফেলা। তাদের মৃত্তিকাসনে আমার স্থান সনকুলান হবে কি?
আজ তোমাদের মিলনমেলায় আমি বড় বেমানান। আমার কথা মনে করে তোমরা যেসব ভড়ং অনুষ্ঠানের আয়োজন কর তা আমার সৃষ্টি কিম্বা আমায় সন্মান কতটুকু দেবার জন্য, তা তোমরাই হয়ত জান। বানিজ্যিকিকরণের এই রকেট গতিতে চলমান বিশ্বের সাথে আমি তরী বেয়ে উঠতে পারি না। আমার কবিতার সোনার ধান যেন পড়ে থাকে অবহেলায়। আমি ভুলে যেতে গিয়ে আবার মনে পড়ার দোলচালে পড়ে হয়ে যাই কুপকাত।
আমি চেয়ে দেখেছি কিভাবে ভেসে চলে সময়স্রোত, ভাসিয়ে নিয়ে যায় কত আজ আর গতকালের সৃতিচারণ। মানুষ তবু আশায় বাঁধে বুক। বেয়ে চলে জীবন তরীর বৈঠা কোন এক অচিনপুরের উদ্দেশ্যে। তীরে পৌঁছাবে কী না তা নিশ্চিত বলতে পারি না, শুধু জানি অবিরাম বয়ে চলে জীবন প্রবাহের এই মহাসমারোহ।
মানুষ তার জীবনে কি চায় আর কি পায় তার হিসাব মেলানো কঠিন। এই আমার কথাই ধরুন না। কত কিই তো লিখলাম । কখোনো হাসিয়েছি, কাঁদিয়েছি, ভাসিয়েছি কোন এক মানস ভ্রমনের আনন্দ ভেলায়। তোমরা বলেছ বাহবা! বাহবা! কি মহান আপনি! আসাধারন! দারুন! দারুন! বিমোহিত হয়ে গেলাম! ইত্যাদি.... ইত্যাদি...
কিন্তু একি দেখছি আজ। তোমরা কি ভুলেছ আমায়। নাহ! তা তো মনে হয় না। আমার জন্মদিবস, মৃত্যুদিবিস, প্রথম বই প্রকাশ রজনী, কবিতা বাসর, সংগীত বিকাল, আমার গল্পের সিনেমা এমনকি সেসবের বানিজ্যিক লাভ উঠাতেও পিছপা এতটুকু পিছপা হওনি একালের তোমরা। বরং আমায় পুরোপুরি ভুলেই যেতে। আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দিতে আমার লেখাগুলো।
আমি আর ওপার থেকে কি বা আর চাইতে পারি। ভেবেছিলাম হয়তে ওপারে বসে দেখব আমার লেখা, আমার কথা এই সময়ে তোমাদেরকে দেখাচ্ছে পথ। তোমরা বুঝে উঠছ মানবতার আহাজারি। বুঝতে পারছ কিভাবে শিশুর কান্না হাসি আর ছোট্ট ঘাসফুলটাও কিভাবে আনন্দ আর প্রকৃতির রুপ রসে কেমন গেয়ে উঠছে আমারি লেখা কোন এক আনন্দ সুর।
সকালে যেমন সূর্য উদিত হয়, পুরো দিন তার আলো বিলিয়ে সন্ধ্যায় অস্ত যায়। এ ভাবে প্রতিদিন দীর্ঘ দিনেরা যাত্রা করে অনিশ্চিত এক একটা রাতের পানে। আমাকে তোমরা যেভাবেই মনে রাখনা কেন, তা নিয়ে আর মোটেও ভাবি না। আমি দেখেছি কিভাবে একেকটা দিনের মতই আমার এই ক্ষুদ্র জীবন ঊষার মত শুরু হয়ে একসময় কৈশর, যৌবন আর বর্ধক্যের গন্ডি পেরিয়ে যাত্রা করেছে অনিশ্চিত আর অচেনা এক নতুন জগতের আমোঘ আকর্ষণে।
তাই শেষ কথায় বলতে চাই, আমাকে নিয়ে মাতামাতির প্রয়োজন নাই। যা বলতে চাই বা বলতে চেয়েছি তা আমার লেখাতেই পাবেন বোধ করি। ভাল মন্দ লাগাটা একান্তই আপনার নিজের মন্তব্য। তবে এখনো ভালো বোধ করি এই ভেবে যে, আমার লেখা যদি একজনেরও মনের দুয়ারে একটু কড়া নাড়তে পারে তাহলেই আমি নিশ্চিন্ত।
থাক কথায় কথায় কথার পিঠে কেমন কথার বোঝা বেড়েই চলেছে। আজ থামি তবে....
ভালো থাকা হয় যেন...!
Your content has been voted as a part of Encouragement program. Keep up the good work!
Use Ecency daily to boost your growth on platform!
Support Ecency
Vote for Proposal
Delegate HP and earn more
Congratulations @chrysanthemum! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 4000 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Wow! It’s amazing! Thanks for the invitation and support. Let's share happiness... 😇
Hi @chrysanthemum, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON