Hive Basics in Bengali (ভোটিং পাওয়ার ও এর হিসাব নিকাশ, Voting Power and its calculation)

avatar

Thumb.jpg

ভোটিং পাওয়ার

হাইভ ব্লকচেইনে ভোটিং পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক । যারা এখানে নতুন ভাবে কাজ শুরু করেছে তাদেরকে বিষয়টি সম্বন্ধে ধারণা দেওয়ার জন্য আজকে আমি ভোটিং পাওয়ার এর খুটি-নাটি কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলব । আশা করি নতুনদের জন্য এটি খুব উপকারী একটি ব্লগ হবে । তাই আপনার নতুন বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন ।

আমরা জানি যে হাইভ ব্লকচেইন-এ মূলত এইচপি বা হাইভ পাওয়ার (HP) থাকা মানেই ভোটিং ইনফ্লুয়েন্স বা প্রভাব বেশি থাকা অর্থাৎ আপনার যত বেশি এইচপি থাকবে আপনি কাউকে ভোট দিলে তার ভ্যালু ততো বেশি হবে । কিন্তু আপনি চাইলেও সারাদিন কাউকে ভোট দিতে পারবেন না কারণ আপনার ভোটিং পাওয়ার রয়েছে আর এই ভোটিং পাওয়ার আপনি কাউকে ভোট দেওয়ার সাথে সাথে কমতে থাকে । তাই এ বিষয়টা জানা খুব জরুরি যে কতটুকু ভোট দিলে পাওয়ারের কতটুকু হ্রাস ঘটে এবং কতক্ষণ সময় অপেক্ষা করলে ভোটিং পাওয়ার আবার কতটুকু বৃদ্ধি পাবে । এখানে একটি ক্যালকুলেশন রয়েছে যা আমি বিস্তারিত ভাবে দেখাতে চলেছি

thumb-422558_1920.jpg
Source: Image by Niek Verlaan from Pixabay

হিসাব নিকাশঃ

ভোটিং পাওয়ারের ক্ষেত্রে যে সময়টি দেয়া আছে সেটি হচ্ছে ২৪ ঘন্টায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ আপনি যদি ৮০% ভোটিং পাওয়ার নিয়ে বসে থাকেন তবে এটা ১০০% হতে সময় লাগবে ২৪ ঘন্টা তার মানে হচ্ছে আপনি প্রতি ২.৪ ঘণ্টায় এক শতাংশ ভোটিং পাওয়ার অর্জন করবেন। তাই আপনি যখনই কাউকে ভোট দিবেন তাতে যখন আপনার ভোটিং পাওয়ার কমে যাবে আপনাকে কেবল অপেক্ষা করতে হবে আপনার ভোটিং পাওয়ার বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য । ভোটিং পাওয়ার কে বৃদ্ধি করার জন্য আর একটি পদ্ধতি হচ্ছে এইচপি অর্জন করা বা কিনে নেয়া । মনে করুন আপনার ভোটিং পাওয়ার এখন ২০% এই অবস্থায় আপনি যদি হাইভ পাওয়ার কিছুটা বৃদ্ধি করেন অর্থাৎ হাইভ-কে এইচপি তে কনভার্ট করেন অথবা কোথাও থেকে এইচপি কিনে নেন তখন আপনার ভোটিং পাওয়ার বেড়ে যাবে । এবং এই বেড়ে যাওয়াটা আপনার বর্তমান যে ভোটিং পাওয়ার রয়েছে সেটা যত এসপির জন্য তার সাথে আনুপাতিক হারে হবে । যেমন ধরুন আপনার ১০০০ hp আছে আর ভোটিং পাওয়ার হচ্ছে ২০% তাহলে আপনি যদি এখন আরও ১০০০ hp এড করেন তখন আপনার রুটিন পাওয়ার মুহূর্তেই দ্বিগুণ হয়ে যাবে । এই হিসাবটা আরেকটু ক্লিয়ার হবে যখন আপনি ভোটিং পাওয়ার এর সাথে ভোটের হিসাবটা বুঝতে পারবেন। আপনার কাছে হয়তো মনে হতে পারে যে ১০০০ hp বৃদ্ধি করে মাত্র ২০% ভোটিং পাওয়ার বৃদ্ধি পেল? আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি যেহেতু অনেক বেশি এইচপি হোল্ড করে আছেন আপনার একেকটা ভোটের ওয়েট অনেক বেশি তাই আপনার ভোটিং পাওয়ার সেই হারে অথবা আনুপাতিক হারেই বৃদ্ধি হবে । নিচের উদাহরণটা দেখি তাহলে বিষয়টা আরেকটু ক্লিয়ার হবে আশা করি।

calculator-385506_1920.jpg
Source : Image by Steve Buissinne from Pixabay

আপনার একেকটা ভোটে কি পরিমান রিওয়ার্ড আসে তা আগে হিসাব করা দরকার। যদি আপনি ১০০% ভোটিং পাওয়ার নিয়ে কাউকে ১০০% ভোট দেন তাহলে ধরে নিচ্ছি 1 ডলার পরিমাণ পোষ্ট রিওয়ার্ড আসে। তাহলে যদি আপনি কাউকে ১০০% ভোটিং পাওয়ার নিয়ে ৫০% ভোট দেন তাহলে ০.৫ ডলার রিওয়ার্ড তৈরি হবে। কিন্তু যদি আপনার ভোটিং পাওয়ার ৫০% এ নেমে আসে তখন ১০০% ভোট দিলেও ০.৫ ডলার ই জেনারেট হবে। আর যদি ৫০ % ভোটিং পাওয়ার নিয়ে ৫০% ভোট দেন তবে আনুপাতিক হারে ০.২৫ ডলার রিওয়ার্ড জেনারেট হবে। আশা করি এই আনুপাতিক হারটা বুঝতে পেরেছেন।

কখন আপনি লস করবেনঃ

উপরের হিসাব থেকে এতক্ষনে নিশ্চই বুঝে গেছেন যে, আপনার ভোটিং পাওয়ার ১০০ % এর আশেপাশে থাকলেই ভাল। কারন আপনি ভোট দিয়ে বেশি রিওয়ার্ড পাচ্ছেন। তাই দিনে খুব বেশি ভোট দেয়া সমীচিন নয়। ২৪ ঘন্টায় আপনার উচিত (২০*১০০%)= ২,০০০% পরিমাণ ভোট দেয়া। সেটা এভাবেও হতে পারে যে আপনি ২০ টা পোস্টে ১০০% করে ভোট দিলেন কিংবা কম পার্সেন্ট করে আরো বেশি পোস্টে মোট ২০০০% ভোট প্রতিদিন দিলেন। এটাই সবচেয়ে লাভজনক ভোটিং। এর বেশি ভোট দিলে আপনার ভোটিং পাওয়ার ৮০% এর নিচে নেমে যাবে যা একদিনে রিফিল হবে না।

অন্যদিকে, আপনি যদি এর চেয়ে কম ভোট দেন দিনে তাহলে দিন শেষ হওয়ার আগেই আপনার ভোটিং পাওয়ার ১০০% হয়ে বসে থাকবে। সেক্ষেত্রে আপনার ভোটিং পাওয়ার এর অপচয় হবে। আপনি কি খুব একটিভ ব্যবহারকারী নাকি কম ব্যবহারকারী সে সাপেক্ষে এমনভাবে প্লান করুন যাতে আপনার ভোট অপচয় না হয় বা বেশি খরচ না হয়। আর আপনার ভোটিং পাওয়ার আপনি যে কোন হাইভ ব্লকচেইন বাবহারকারি এপ্স বা সাইট যেমন esteem app, hive.blog, peakD.com থেকে আপনার প্রোফাইলে দেখে নিতে পারবেন। তাছাড়া একটি জনপ্রিয় ও বিস্তারিত তথ্য দেখা ও হিসাবায়নের সাইট হলঃ https://hive-now.com/ আপনার ইউজার নাম দিয়ে আপ্ন্রার বিস্তারিত তথ্য দেখে নিতে পারবেন। নিচের ছবির মত সব তথ্য একসাথে পাবেন এখানে

My Data.png

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এরপরও কিছু বুঝলে কমেণ্টে জানাতে পারেন। উত্তর দেয়ার চেস্টা করব।


বিডিকমিউনিটি এই ব্লগ থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারলেই এই পোস্টের সার্থকতা। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


আমি কে




আমি বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন প্রভাষক এবং সদ্য বাবা। আমি আমার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি আমার বন্ধুদের এবং সম্প্রদায়ের সাথে ভাগ করে নিতে ভালোবাসি। ইউটিউব, ডিটিউব, হাইভে ব্লগিং করতে ভালবাসি। আমি শেয়ার করতে চাই ওইসবকিছু যা আমি শিখেছি যাতে মানুয আমার থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারে। আমি আমার ব্লগে টেক্সটাইল, অনলাইন আয়, ও নানান রকম আকর্ষনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকি। আমি সর্বদা একজন শিক্ষানবিস হিসেবে সবার থেকে শিখতে চাই ও এই কমিঊনিটির সাথে এগিয়ে যেতে চাই।


zxddz4gt63.gif

Upvote, Resteem and Follow me on hive @engrsayful


Find me on social media

Follow me on DTube
Follow me on Youtube
Follow me on ThreeSpeak
Follow me on Facebook
Follow me on Twitter



0
0
0.000
10 comments
avatar

এই বিষয়টা ক্লিয়ার হলাম। অন্যান্য হাইভ রিলেটেড বিষয়গুলা নিয়ে লিখলেও উপকার হতো। আমি গুগলে সার্চ করেছিলাম, কিন্তু খুব বেশি কিছু বুঝতে পারছি না ভাই।

0
0
0.000
avatar

বেসিক বিষয় গুলী নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখব

0
0
0.000
avatar

নতুনদের জন্য বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে ধারাবাহিক কিছু লেখা জরুরি। বিশেষ করে বাংলাদেশীদের জন্য বাংলা ভাষায় লেখা থাকলে অনেকে উপমৃত হবে। আপনার এই প্রচেষ্টা হাইভ ব্লকচেইনকে এদেশে জনপ্রিয় করতে ভালো ভুমিকা রাখবে আশা করি।

অতএব স্যার, নির্দিধায় লিখে যান।

0
0
0.000
avatar

ছোট ছোট আর খুটিনাটি বিষয়গুলো একটার পর এক্টা নিয়ে আসব

0
0
0.000
avatar

আপনার এই পোস্ট গুলো নতুনদের খুব বেশি কাজে দিবে ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

0
0
0.000
avatar

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ

0
0
0.000
avatar

বাংলা লেখা থাকার কারনে আমি সহযে বুঝতে পেরেছি ধন্যবাদ ভাই।

0
0
0.000
avatar

I am glad that you found it useful. You are most welcome

0
0
0.000