সমুদ্রের রাতের সৌন্দর্যের খোঁজে !!

avatar
(Edited)

তিন বন্ধু মিলে বেড়াতে গিয়েছিলাম পৃথিবীর সবচাইতে বড় প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সি বিচে ৷ সেখানে আমাদের তিন রাত দুই দিন ঘুরার পরিকল্পনা ছিলো। যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ। কক্সবাজারে পৌঁছে সমুদ্র সৈকতের একেবারে কাছাকাছি একটি হোটেলে উঠি আমরা। সারাদিন সমুদ্রের পানিতে গোসল করে রাতে দিকে আমরা বের হই হাটার উদ্দেশ্যে। সকলের মুখে শুনেছি রাতের বেলা সমুদ্রে তীরে হাঁটা নাকি বেশ আনন্দের। তাই আমরাও সকল প্রস্তুতি নিয়েই বের হই হাটার উদ্দেশ্যে।

হোটেল থেকে বের হয়েই আমাদের গন্তব্য সি বীচ। তবে সমুদ্রের তীরে যাওয়ার পথে কিছুক্ষন গানের আড্ডার সাথী হলাম। আমাদের হোটেলটা সুগন্ধা পয়েন্টে কাছেই অবস্থিত। তাই সমুদ্রের তীরে আসতে সময় লাগলো মাত্র ২ মিনিট। তীরে দাড়িয়ে আমরা উপভোগ করছিলাম রাতের সমুদ্রের সৌন্দর্য। বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছিল তীরে। সাথে শোনা যাচ্ছিলো ঢেউয়ের গর্জন। তবে আকাশ মেঘলা থাকায় চাদের আলো ছিলোনা এদিন। তাই সমুদ্রের তীরে বসে চাদের জোসনা উপভোগ করার সুযোগ হয়নি।

image.png

image.png

সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তিন বন্ধু আড্ডার সাথে এগিয়ে চললাম কলাতলী পয়েন্টের দিকে। কথার মাঝে কখন যে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কলাতলী পয়েন্টে এসে পৌঁছে গেলাম বুঝতেই পারেনি। আমাদের মতো অনেকেই এখানে এসেছে রাতের সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। অনেকেই আবার সমুদ্রের হালকা পানিতে পা ভিজিয়ে হেটে চলছে সামনের দিকে। কেউ কেউ আবার ব্যস্ত সমুদ্রের তীরেই অবস্থিত ছোট্ট রেস্তুরেন্টগুলোতে সামুদ্রিক মাছ খাওয়াতে।

প্রায় দুই ঘন্টা একাধারে হাটার পর একটু ক্লান্ত লাগছিলো। তাই তীরেই বসে সময় কাটানোর জন্য ঘন্টায় ৩০ টাকা দিয়ে দুটি সিট ভারা করলাম। এবার আমাদের আড্ডা জমে বীচের তীরে বসে। ঠান্ডা শীতল হাওয়া শরীরে জমে থাকা সব ক্লান্তি গুলোকে যেন দূর করে দিচ্ছিলো। সময় যতো বাড়ছিলো সমুদ্রের গর্জন যেন ততই বাড়ছিলো।

image.png

image.png

সমুদ্রের ঘুরার পর এবার আমাদের পালা পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করার। তাই তীর থেকে হাটা শুরু করলাম পাশেই অবস্থিত মার্কেটটির দিকে৷ তখন রাত প্রায় বারোটা। এই সময়টাতে মার্কেটে মানুষ খুব কম ছিলো; সাথে অল্প অল্প বৃষ্টির ফোটাও পরছিলো।

সমুদ্রের পাশের মার্কেটগুলোতে পাথর আর ঝিনুক দিয়ে তৈরি অনেক ধরনের মালা পাওয়া যায়। তবে এখানে যেন সব কিছুই মেয়েদের সৌন্দর্য বর্ধনের উপকরন। মাল, চুরি, হাতে বুনা ব্যাগ ইত্যাদি। কেউ চাইলে ঝিনুক আর পাথরে নাম লিখে নিতে পারে। খাবারের উপকরন হিসেবে এখানে ছিলো বিভিন্ন আইটেম এর আচার এবং চকলেট। মায়ানমারে তৈরি আচারগুলো এই মার্কেটে বেশ জনপ্রিয়।

image.png

image.png

যাইহোক ঘুরাফিরা আর কেনাকাটার পর হোটেলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত তখন দুইটার কাছাকাছি। সারাদিনের ঘুরাফিরার করে শরীর যে বেশ ক্লান্ত। এবার ঘুমাতে যাওয়া ছাড়া আর উপায় ছিলোনা।



0
0
0.000
2 comments
avatar

আচার কি কি আনলেন?বেশির ভাগ মানুষ কক্সবাজারে গেলেই আচার নিয়ে আসবেই সবাই।ওখানে অনেক ধরনের আচার পাওয়া যায়।

0
0
0.000
avatar

এইবার গিয়ে একটাও আনি নাই আচার :-)

0
0
0.000