চট্রগ্রামের পথে 🚇
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এক অপরূপ লীলাভূমি বাংলাদেশ। এদেশের পাহাড় - সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য প্রত্যেকটি ভ্রমনপিপাসু মানুষই মুগ্ধ হতে বাধ্য। প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্যের মধ্যে হারিয়ে যেতে প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ ছুটে যায় পাহাড় আর সমুদ্রের বুকে। পাহাড়-সমুদ্র ছাড়াও এদেশে আরো রয়েছে বিশাল বিশাল হাওর আর জলপ্রপাত। নিকলী হাওর এবং টাঙ্গুয়ার হাওর তার মধ্যে অন্যতম।
আমি একজন ভ্রমপিপাসু মানুষ। নতুন জায়গা আর নতুন পরিবেশ আমাকে কাছে টানে। তাইতো কয়েকদিন পর-পরই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে যাই এদিক সেদিক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে ভ্রমনের সুযোগটা বেড়ে গেছে বহু গুনে। তার সাথে নিজের উপার্জনের টাকায় ঘুরাঘুরির মজাটাই আলাদা। হাইভ আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে নিজের মতো করে পছন্দের জায়গাগুলো ভ্রমন করার৷
ইতিমধ্যেই দেশের অনেকগুলো টুরিস্ট প্লেসগুলোতে পা রাখা হয়ে গেছে। এইতো কিছু আগেই আমরা ঘুরে এসেছি সেন্টমার্টিন এবং কক্সবাজার। তিনদিন চার রাতের এই ভ্রমনটা ছিলো কল্পনার মতো। তার আগে আমরা গিয়েছিলাম কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর, সিলেটের (ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, রাতাগুল, লালাখাল, জাফলং) , কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জ।
ভ্রমনপর্বে এবার আমরা যাচ্ছি চট্টগ্রাম। এবার আমাদের পরিকল্পনা চট্টগ্রামের আশেপাশে অবস্থিত সবগুলো টুরিস্ট প্লেস গুলোতে ঘুরে বেড়ানো। এই যেমন সীতাকুণ্ড, চন্দ্রনাথ পাহাড়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, গুলীয়াখালি সী বিচ, মহামায়া লেক এবং খৈয়াছড়া ঝর্ণা। শুরতে একদিনের পরিকল্পনা থাকলেও ভ্রমনের সুবিধার্থে তিন রান দুই দিনের হবে আমাদের এই টুর।
PIXABAY
যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে এবার আমরা বেছে নিয়েছি ট্রেন ভ্রমনকে৷ সাধারণত আমরা বাসেই যাতায়াত করে থাকি। তবে এবার ট্রেনে ভ্রমনের সুবিধা থাকাতে ট্রেনকেই বেছে নেওয়া। তাছাড়াও আমাদের মধ্যে এখনো অনেকের ট্রেনে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নেই৷ তাদের ইচ্ছা পূরনও হলো আমাদের আরামে যাতায়াতও হলো। ট্রেনে টিকেট অনলাইনে কেটে ফেলা শেষ। আজ রাত ৯.৩০ মিনিটে আমাদের ট্রেন ছেড়ে যাবে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে।
এবার আমাদের ভ্রমনসঙ্গী নয়জন। শুরুতে এই সংখ্যাটা আরো বেশি থাকলেও কমতে কমতে নয়জনে এসে ঠেকেছে। প্রতিবারই এই ঘটনাটা ঘটে। পরিকল্পনার শুরুতে যাওয়ার মানুষের অভাব হয়না৷ যত যাওয়ার সময় এগুতে থাকে ততোই মানুষ কমতে থাকে৷ সমস্যার তখন অভাব হয়না। এই সমস্যার সমাধানেই এবার আগেভাগে অনলাইনে টিকেট কেটে ফেলা। প্রকৃত সমস্যা ছাড়া এবার আর কেউ না করতে পারবেনা 😃।
আশা করছি ভালো একটি ভ্রমন হতে চলছ। তবে আমি বিশ্বাসি বন্ধুরা একত্রে থাকলে সব-জায়গাকেই উপভোগ করা সম্ভব। পরিশেষে এটাই হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ ভ্রমন।
শুরুতে তাইলে কতজন ছিলো? 🙄
আমার তো প্ল্যানিং এর সময়ই নয়জন থাকেনা, যাওয়ার সময় তিন বা চার।
By the way, best of luck, enjoy to your fullest.
শুরুতে তো ১৫/১৬ জনের মতো ছিলো। পরে এই নয় জন আরকি 😃।
তোমরাতো দেখি খুব বেশি ভ্রমণ করছো ইদানীং।
এই জিনিসটা আমিও অনেকবার ফেস করেছি। যাওয়ার টাইম হলে অনেকের অনেক ব্যস্ততা বেড়ে যায় এবং নানা অজুহাত দেখায়। এজন্য মাঝেমধ্যে মনে হয় পরিকল্পনা ছাড়া ট্যুর গুলো সবচেয়ে বেশি বাস্তবায়ন হয়।