ছোট- বড় সম্পর্ক 👥

avatar
(Edited)


image.png
PIXABAY

সিনিয়র - জুনিয়র অথবা বড়- ছোট সম্পর্কটা স্নেহের, ভালোবাসার এবং সম্মানের৷ একজন ছোট সবসময় তার বড়কে সম্মান করবে এটাই স্বাভাবিক। ছোটবেলা থেকেই পরিবার থেকে শুরু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানুষ শিখে আদব - কায়দা। কার সাথে কেমন আচরন করতে হবে তা অর্জিত জ্ঞান আপনাকে পথ দেখাবে৷ আর এখানেই একজন শিক্ষিত আর একজনে সাধারন মানুষের মধ্যে পার্থক্য তৈরী হয়।

সময়ের পরিবর্তনে মানুষের মধ্যে মূল্যবোধটা হারিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আদব-কায়দার ছিটেফোঁটাও খুজে পাওয়া যায়না। বড়দের যে সম্মান করতে হয় তারা হয়তো তারা ভুলেই যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কটা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া চাকরি জীবনেও রয়েছে এর প্রভাব। বিশ্ববিদ্যালয় অথবা চাকরি সব ক্ষেত্রেই সিনিয়র জুনিয়র থেকে সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ প্রাপ্য। আজকে আপনি যথাযথ সম্মান করছেন আপনার সিনিয়রদের, ভবিষ্যতে আপনার জুনিয়র আবার আপনাকে সম্মান করবে। এটাই চলে আসছে ; এবং এই প্রথাই সুন্দর এবং মার্জিত।

কিন্তু আজকাল এই প্রথার লোভ পেতে চলছে৷ বিশেষ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এখানে অধ্যায়নরত অনেকে শিক্ষার্থীই মনে করে আমি আমার বাবার টাকায় পরছি ; বড় ভাই আবার কিসের? নিজের টাকায় পড়ে তাদের কথা শুনবো কেনো?

ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে তৈরি হয় বাজে পরিস্থিতির। তাদেরকে কন্ট্রোল করার কেউ নেই। নিজের ইচ্ছেমতো যা খুশি করে বেড়ায়। অনেক সময় কিছু দুষ্টু প্রকৃতির শিক্ষার্থীর কারনে ফল ভুগতে হয় সাধারন কোন এক শিক্ষার্থীর। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদের কমান্ড মানতেও তারা নারাজ। পিতাতূল্য শিক্ষকদেরও তারা হুমকি ধমকি দিতে দ্বিধাবোধ করেনা।

এইতো কিছুদিন আগের কথা, সাভারে এক শিক্ষার্থীর আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক শিক্ষকের। সামাজিক, মানসিক মূল্যবোধের কতোটা অভাব হলে একজন শিক্ষককে তার ছাত্রের হাতে খুন হতে হয়? এই অবস্থার কারন কি? কে করবে এই সমস্যার সমাধান!

কই আমরা তো এমন ছিলামনা। শিক্ষকের শরীরে হাত তোলা তো দূরের কথা স্যারের চোখের দিকেই কখনো তাকানোর সাহস হয়নি। দূর থেকে কোন শিক্ষককে দেখলে পাশ কাটিতে অন্য পথ ধরতাম। আমাদের সময় আর বর্তমান সময়ের আধুনিক ছাত্রদের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কি? প্রয়োজনীয় শাসনের অভাব ছাড়া আর কোন কিছুই নয়। ছোট থেকেই শাসনের অভাবে তারা দোষ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। শাস্তির কোন ভয় না থাকায় নতুন কোন অপরাধে যুক্ত হতে ভয় পাচ্ছেনা উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা। সময় এসেছে আবারো শিক্ষকের হাতে ব্যাত তুলে দেওয়ার।

যেই ছেলেটা তার শিক্ষককেই সম্মান করতে যানেনা, সে তার সিনিয়রকে কি আর সম্মান করবে!! পরিস্থিতি সাপেক্ষে আমি র‍্যাগিংকে সমর্থন করি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে র‍্যাগিং অনেক সময় সুফল বয়ে আনে, পাশাপাশি সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কটাকেও মধুর করে। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই আবার ভালো নয়!



0
0
0.000
9 comments
avatar

এই ডিজিটাল দুনিয়া আসার আগে ছোটরা বড়দের বাঘের মতো ভয় পেতো,আবার এই ভয়ে থাকতো শ্রদ্ধা,ভালোবাসা।আর এখন বড় ছোট কেউ গুণে না।আবার যদি বড়দের কেউ শ্রদ্ধা করে সেটাও লোক দেখানো করে, উপরে তেল দেয় আর পিছনে গালি দেয়।

0
0
0.000
avatar

আধুনিক সময় ভাই! সবাই আধুনিক হয়ে গেছে৷ এখন আর সম্মান-টম্মানের দরকার নাই 😀

0
0
0.000
avatar

এমন জেনোরেসনের পেছনে যার যার অভিভাবকের বা পরিবারের গাফলতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আর তার মাধ্যমেই শিক্ষা ও সুশিক্ষার পার্থক্য বুঝা যায়।

0
0
0.000
avatar

এই ব্যাপারটা আসলেই দুঃখজনক এবং খুবই নিয়মিত দেখা যায় ইদানীং।
বেশীরভাগ সময় নিজের সম্মান বাঁচাতে চুপ করে থাকা আর দূরত্বের দেয়াল তোলা ছাড়া উপায় থাকেনা।

কিন্তু বাংলা পোলাপান, পোস্ট করার আগে রিভাইস দিবা। অন্তত বানান-টানানগুলা চেক করবা।🤦‍♀️

0
0
0.000
avatar
(Edited)

বেশীরভাগ সময় নিজের সম্মান বাঁচাতে চুপ করে থাকা আর দূরত্বের দেয়াল তোলা ছাড়া উপায় থাকেনা।

সেটাই আপু। অনেক কিছু দেখার পরেও পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই 🙂

কিন্তু বাংলা পোলাপান, পোস্ট করার আগে রিভাইস দিবা। অন্তত বানান-টানানগুলা চেক করবা।🤦‍♀️

আপু সব দোষ চঞ্চলতার😐। কেনো যে আমি এতো চঞ্চল!!
বিষয়টা মাথায় রাখবো 🙃। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার লেখা পড়ার জন্য 🧡

0
0
0.000
avatar
(Edited)

তুমি ভালো লিখছো বেশ।
কেবল এলাইনমেন্ট, প্যারাফ্রেজ সুন্দর করে করবা তাইলে পড়তে ভালো লাগবে।

হম্ম, চঞ্চল বয়স, আই সি 🤨 ঠিক হয়ে যাবে অসুবিধা নাই।

0
0
0.000
avatar

প্রশংসা শুনতে ভালোই লাগে 😃🙊

ধন্যবাদ আপু 🫡 বিষয় গুলো মাথায় থাকবে 🙃

0
0
0.000