ক্লিন ইমেজ

avatar

খুব বাইড়া গেছত, ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া শিখে গেছত না? বাম হাতে বেনসন সিগারেট ধরে, মুখ দিয়ে ধোয়া গুলো বিশেষ কায়দা করে রাতুলের দিকে ছেড়ে এলাকর পাতি নেতা সুমন বলে। রাতুল বুঝতে পারে শেফালীদের ঘটনা সুমনকে না জানিয়ে মিট করাতে ক্ষেপে গেছে। রাতুল জানে সুমন দের জানালে ওরা শেফালীদের থেকে ও টাকা খাইতো আবার নাসেরদের থেকেও খাইতো। আবার জরিমানার টাকা এলাকার মেম্বার আর সুমনরা মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নিতো।

না সুমন ভাই কী যে বলেন, আপনে হলেন এলাকারবড়ো ভাই, আপনাকে ছাড়া এই পর্যন্ত কোন কাম করছি? তা করছ নাই, তোই আজকাল শুনা যায় তুই নাকি শেফালীদের বাড়ির দিকে একটু বেশি যাওয়া আসা করিতেছিস? না ভাই আপনে তে জানেন আমি এলাকায় কয়েকটা টিউশনি করি, গরিব ছেলেমেয়েদের কম টাকায় পড়াই, হ তা জানি। তো যাওয়া আসাটা যাতে শুধু পড়ালেখায় সীমাবদ্ধ থাকে, কথাটা মনে থাকে যেনো। আচ্ছা ঠিক আছে ভাই। যা এখন সামনে থেকে সুমন ধমক দিয়ে উঠে রাতুলকে।

রাতুল কিছু না বলে হাঁটা শুরু করে। পিছন থেকে আবার ডাক দে সুমনের চেলা মাঞ্জা সোহেল। রাতুল আবার আসে সুমনদের সামনে। মাঞ্জা সোহেল বলে দেখেন ভাই রাতুল কেমনে তাকাইছে আপনার দিকে? কীরে রাতুল তুই সালাম না দিয়ে চলে গেলি যে? আবার এসে এমন ভাবে তাকালি মনে হয় মারবি আমারে!

আরে দূর কী যে বলেন সুমন ভাই আপনে হলেন আমার বয়সে বড়ো, আপনারে আমি মারতে পারি? শুন সোহেল তুই ছোট মানুষ আমার আর সুমন ভাইয়ের মাঝে আসবি না, রাতুল দৃঢ় কন্ঠে বলে। রাতুল কন্ঠস্বর শুনে কিছুটা হকচকিয়ে যায় সুমনরা। মাঞ্জা সোহেল ক্ষেপে গিয়ে বলে বস মাদারবোর্ডকে (সুমনরা মাদারচোদকে মাদারবোর্ড বলে) ফালাই দি, বেশি বাইড়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যাতে চলে না যায় তার জন্য সুমন মাঞ্জা সোহেলকে চুপ থাকতে বলে।

রাতুল ঐখান থেকে চলে যায় টিউশনিতে। রাতুল যাওয়ার পর সুমন বলে, সোহেল সামনে নির্বাচন। এখন মাথা গরম করা চলবেনা। খুনখারাপি তো প্রশ্নই উঠেনা। আর এলাকায় রাতুলদের একটা ভালো ইমেজ আছে সবচেয়ে বড় খবর হলো ওর বাপের সাথে আমাদের লিডারের যোগাযোগ আছে। মাঞ্জা সোহেল তখন সুচ দিয়ে ফোটা বেলুনের মতো চুপসে যায়।

ভাই যাই বলেন রাতুল কিন্তু বাইড়া গেছে এইভাবে চলতে থাকলেতো এলাকায় আমাদের মানইজ্জত কলা গাছের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সোহেল সুমনকে বলে। তুই ঠিক বলছিস। শালাকে এজটা শিক্ষা দিতে হবে, গ্রামে রটিয়ে দিতে হবে শেফালির সাথে রাতুলের ফশটিনশটি। কী যে বলেন সুমন ভাই শেফালীর কাহিনীতো ঘটেই গেছে, তবে রাতুলের সাথে না নাসেরের সাথে। আর সেটা মিট করে দিছে রাতুল! কী বলিস?? সুমন আশ্চর্য হয়ে যায়। আমি তো বলছিলাম আপনারে সোহেল জবাব দে।

আরে শালা সবজি টবজি (সবজি গাঁজা অর্থে ব্যবহার হয়) খেয়েতো কিছুই মনে থাকছেনা সুমন বলে।

এদিকে রাতুলের মাথায় পন ছাপে, যে করে হোক গ্রাম থেকে মাদক দূর করবে আর সুমনদের এজটা শিক্ষা দিবে। সুযোগ ও চলে আসে হাতের মুঠোয়। সামনে নির্বাচন তাই ওপের নির্দেশ এলাকায় মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলতে যাওয়া যাবেনা। দলের একটা ক্লিন ইমেজ দরকার। রাতুল এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সুমনদের পুরো গ্রুপকে পুলিশে ধরিয়ে দে।

Source Pixabay
img_0.9260248558191249.jpg



0
0
0.000
1 comments