বর্ষার স্নানে স্নিগ্ধ প্রকৃতি


Image
রাত ৩.১৪ মিনিট। রাত প্রায় শেষ তবুও চোখের পাতা দুটো এক হতে চাইছে না। লেখালেখি করা হয়না বহুদিন। তাই বোধ হয় হাত নড়তে চাইছে না। তবুও আজ লিখব।

Image
যাইহোক, আজ ১৩ই আষাঢ়, বর্ষাকাল। আকাশে মেঘ করেছে সাথে আলোর ঝলকানি হয়ত ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। খুব মনে পড়ে সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ পানিতে থৈ থৈ করছে বৃষ্টির পর সেখানে সব ছেলেমেয়ে খেলছে আশেপাশে ছোট ছোট মাছ দৌড়ে পালাচ্ছে পায়ের শব্দে। ঘন্টার ঘন্টা জানালায় বসে ঝুম বৃষ্টি দেখা মনেপড়ে।


Image


Image
বছর দুয়েক আগে সিলেট ঘুরতে গিয়েছিলাম ঠিক এরকম সময়ে। পাহাড়ের গাড় সবুজ রং আর উজ্জীবিত পরিবেশ এক অদ্ভূত ভাল লাগা তৈরি করেছিল। জাফলং এ পাহাড়ি ঝরনাগুলো যেন বয়ে চলছিল আপন ধারায়। এ সময়ে প্রকৃতির রুপ যেন ফেটে পড়ে। পাহাড়, নদী, পুকুর, গাছপালা ফিরে পায় প্রান। সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সেজে ওঠে নতুনভাবে। পাহাড়ের ঝরনাগুলো প্রানোচ্ছল ভাবে মেতে ওঠে। ফোটে বাহারি ফুল।


Image
নাগরিক যান্ত্রিক জীবনে বৃষ্টি প্রায়ই বেমানান। কিছুটা বিরক্তিকরও মনে হতে পারে। অরণ্য প্রকৃতির মাঝেই বৃষ্টি যেন বেশি মানানসই। তাই তো কবিগুরু রবীঠাকুর তার নৌকাডুবি উপন্যাসে বলেছেন, ‘বর্ষা ঋতুটা মোটেই উপরে শহুরে মনুষ্য সমাজের পক্ষে তেমন সুখকর না, ওটা অরণ্য প্রকৃতির বিশেষ উপযোগী’। তাতে আমার কি আমার তো বৃষ্টিতে ভেজা মাটির ঘ্রান খুব পছন্দ।

গ্রীষ্মের কাঠফাটা দাবদাহর পর শুকনো ধরনীকে সিক্ত করে প্রকৃতির বুকে বর্ষার আগমন ঘটে উৎসব আমেজ নিয়ে।কোন এক বর্ষায় নৌকাবাইচ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল গ্রামের বাড়িতে। কি সুন্দর দৃশ‍্য। কানায় কানায় ভরা নদীতে মাছেদের আনাগোনা। নদীর বুকে ভেসাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ‍্য মোহনীয় সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে।

ব‍্যঙের ঘ‍্যাঙর ঘ‍্যাঙর শব্দ ছাড়া যেন বর্ষাকাল মনেই হত না। কোনা ব‍্যঙের ডাকের শব্দ দালানভেদ করে কান পর্যন্ত পৌছায় না ঠিকই তবুও বর্ষাকাল আমি ভালবাসি। ভালবাসি গাছে গাছে নতুন পাতা, কদম ফুল, বিলে ভরা শাপলা, পাল তোলা নৌকা।


Image
আপনার কেমন লাগে বর্ষাকাল?

ধন‍্যবাদ সবাইকে লিখাটি পড়ার জন‍্য।



0
0
0.000
0 comments