খাবার পাত্র!...

খাবার পাত্র!...

বাঙালি ভোজ রসিক মানুষ। তারা খেতে এবং খাওয়াতে খুব পছন্দ করে। শুধু যে খেতে বা খাওয়াতে পছন্দ করে তা নয়। খাবারকে নানা ভাবে, সুন্দর কারুকার্যের মাধ্যমে উপস্থানও করে থাকে। মানুষের রীতি ভেদে তাদের খাদ্য খাওয়ার পাত্রগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কেউ স্টিল প্লেট,কেউবা মাটির পাত্র, আবার কেউ কলা পাতা কেউবা চিনমাটির প্লেটে। আবার পরিবেশ বা অবস্থা ভেদেও মানুষের খাদ্য খাবার পাত্র পরিবর্তন হয়ে থাকে। বাড়িতে, অনুষ্ঠানে, পার্টিতে মানুষ আলাদা আলাদা পাত্র ব্যবহার করে থাকে। এতো ভিন্নতার কারণ কি? কেনোইবা এতো বাহারি সব জিনিসের আবিষ্কার। সবই মানুষের রুচিবোধ আর চাহিদা এবং পছন্দের তারতম্যের কারণে।

IMG_20231009_135627.jpg

আমরা এটুকু হয়ত বুঝতে পারলাম, স্থান ভেদে খাবার খাওয়ার পাত্রগুলো অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে। সচারাচর আমরা যারা বাড়িতে থাকি। তারা মেলামাইন, বা স্টিল প্লেটে খাবার খেয়ে অভ্যস্থ। তবে এমন কিছু সময় আছে, যেখানে সবার খাবার পাত্র একরই রকম থাকে। যেমন কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সবাইকে একই জাতীয় প্লেটে খাবার দেওয়া হয়। এবার চলুন জেনে আসা যাক ছাত্র জীবনে মেসে খাবার পাত্র কেমন হয়৷ বেশ কিছু দিন আগেও মেসে যে যার নিজ নিজ পছন্দ মতো পাত্রে খাবার খেতে পারত৷ কিন্তু অনেক দিন ধরে আর ইচ্ছা মতো পাত্রে খাবার খাওয়া যায় না।

প্রতিটা মেসে এখন বাটি সিস্টেম। মানে খালারা খাবার রান্না করে আলাদা আলাদা বাটিতে খাবার রেখে যায়। তখন যে যার মতো যেকোনো একটা বাটি নিয়ে চলে আসে। এখন কেউ বলতে পারবে না নিদিষ্ট করে, যে এটা আমার বাটি৷ সিস্টেম বর্তমান সময়ের বাংলাদেশর বেশির ভাগ মেসেই চালু হয়েছে। ইচ্ছা না থাকলেও এটাই নিয়ম, যা সবাইকে মেনে চলতে হয়। আমাদের আবাসিকেও এই নিয়মই চলে। তবে কেউ প্লেটে খেতে চায়লে বাটি থেকে ঢেলে খেতে পারে রুমে আনার পর।

ছাত্র জীবন এমনই। শত কষ্টের বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে পড়াশুনাটা চালিয়ে যাওয়া লাগে। যে অভ্যাসগুলো পূর্বে ছিল না সেগুলো মানিয়ে নেওয়া লাগে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ।।।



0
0
0.000
0 comments