আমার জীবন পরিচিতি
আমি ছোট ব্যবসায়িক মানুষ৷ আমার একটি ফ্লেক্সিলোড এর দোকান রয়েছে৷ এছাড়াও আমি ঔষধ বিক্রি করি৷ আমার এই ছোট দোকান থেকে যা ইনকাম হয় তা দিয়ে আমি আমার সংসার চালাই।
করোনার অবস্থা খুবই খারাপ আমাদের উত্তরাঞ্চলে। কিছু করার নাই। সংসার এর ভরণপোষণ করতে হবে। আমার একটি ছেলে রয়েছে৷ আমার বউ রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য এই বিপর্যয়ের সময়েও আমাকে দোকান খুলতে হচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় প্রটেকশন নিতে পারি না৷ আমি শুধু মাস্ক ব্যবহার করি৷
আমাদের সৈয়দপুর এলাকা রেড জোনে আছে। সৈদয়পুর অবস্থা খুবই খারা৷ কেউ মারা গেলে মানুষ গোপনে তাকে কবর দিয়ে আসছেন৷ নয়তো বা রাত 12 টার পর পরিবারের কিছু সদস্য মিলে কবর দিয়ে আসছেন।
আমাদের এখানে Hatikhana নামে একটি কবরস্থান আছে৷ যেখানে পুরো সৈয়দপুর থানা এর মানুষকেৃকবর দেওয়া হয়৷ ঐ কবরস্থান এর মানুষদের মুখ থেকে এই কথাটি শুনেছে মানুষ। ওখানে রাতের অন্ধকারে মানুষ তাদের আত্মীয়স্বজনদের লাশ কবর দিয়ে আসছেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন। কতটা খারাপ অবস্থা আমাদের এই এলাকায়৷
আমাদের বাংলাদেশে সবথেকে বেশি ব্যাংকাররা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ টাকা হলো করোনাভাইরাস ছড়ানোর এলটি মাধ্যম। কারণ টাকা সবধরণের মানুষ ব্যবহার করে৷ এক হাত থেকে আরেক হাতে যায়। কার করোনাভাইরাস আছে। কার নাই সেটা বুঝবেন কিভাবে। এই জন্য টাকা এর মাধ্যমে করোনা বেশি ছড়াচ্ছে। কিছু করার নাই। সারাদিনে আমার ইনকাম হয় 300-350 টাকা৷ সেখানে 1 টি হ্যান্ড গ্লোফস কিনতে 35 টাকা লেগে যায়৷ এক হ্যান্ড গ্লোফস দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না৷ আমি যে ব্যবসাটি করি৷ আমাকে সারাদিনই টাকা ধরতে হয়। আমার বিপদটাই বেশি। তবুও পেট চালানোর জন্য এই ব্যবসা করে যাচ্ছি।