আমার জীবন পরিচিতি

avatar

আমি ছোট ব্যবসায়িক মানুষ৷ আমার একটি ফ্লেক্সিলোড এর দোকান রয়েছে৷ এছাড়াও আমি ঔষধ বিক্রি করি৷ আমার এই ছোট দোকান থেকে যা ইনকাম হয় তা দিয়ে আমি আমার সংসার চালাই।

20200622_132043.jpg

করোনার অবস্থা খুবই খারাপ আমাদের উত্তরাঞ্চলে। কিছু করার নাই। সংসার এর ভরণপোষণ করতে হবে। আমার একটি ছেলে রয়েছে৷ আমার বউ রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য এই বিপর্যয়ের সময়েও আমাকে দোকান খুলতে হচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় প্রটেকশন নিতে পারি না৷ আমি শুধু মাস্ক ব্যবহার করি৷

আমাদের সৈয়দপুর এলাকা রেড জোনে আছে। সৈদয়পুর অবস্থা খুবই খারা৷ কেউ মারা গেলে মানুষ গোপনে তাকে কবর দিয়ে আসছেন৷ নয়তো বা রাত 12 টার পর পরিবারের কিছু সদস্য মিলে কবর দিয়ে আসছেন।

আমাদের এখানে Hatikhana নামে একটি কবরস্থান আছে৷ যেখানে পুরো সৈয়দপুর থানা এর মানুষকেৃকবর দেওয়া হয়৷ ঐ কবরস্থান এর মানুষদের মুখ থেকে এই কথাটি শুনেছে মানুষ। ওখানে রাতের অন্ধকারে মানুষ তাদের আত্মীয়স্বজনদের লাশ কবর দিয়ে আসছেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন। কতটা খারাপ অবস্থা আমাদের এই এলাকায়৷

আমাদের বাংলাদেশে সবথেকে বেশি ব্যাংকাররা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ টাকা হলো করোনাভাইরাস ছড়ানোর এলটি মাধ্যম। কারণ টাকা সবধরণের মানুষ ব্যবহার করে৷ এক হাত থেকে আরেক হাতে যায়। কার করোনাভাইরাস আছে। কার নাই সেটা বুঝবেন কিভাবে। এই জন্য টাকা এর মাধ্যমে করোনা বেশি ছড়াচ্ছে। কিছু করার নাই। সারাদিনে আমার ইনকাম হয় 300-350 টাকা৷ সেখানে 1 টি হ্যান্ড গ্লোফস কিনতে 35 টাকা লেগে যায়৷ এক হ্যান্ড গ্লোফস দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না৷ আমি যে ব্যবসাটি করি৷ আমাকে সারাদিনই টাকা ধরতে হয়। আমার বিপদটাই বেশি। তবুও পেট চালানোর জন্য এই ব্যবসা করে যাচ্ছি।

20200622_132108.jpg



0
0
0.000
0 comments