বেঁচে থাকার জন্য ।
বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয়।গ্রাম থেকে শহরে প্রতিটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।এই যুদ্ধ কারো জন্য খুব সহজ আবার কারো জন্য খুবই কঠিন।
যুদ্ধটা হচ্ছে শুধুই বেঁচে থাকার জন্য।মানুষকে বাঁচতে হলে তার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা প্রয়োজন।আর এই প্রয়োজনে মানুষকে প্রতিনিয়ত অনেক কষ্ট করতে হয়।বেঁচে থাকার জন্য মানুষ এসব চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকেন।সমাজে অনেক ধরনের মানুষ দেখা যায়।কেউ উচ্চ বিলাসী জীবন যাপন করে, কেউ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আবার কেউ একেবারে নিম্ন ভাবে জীবন যাপন করে।কেউ কাজ করে এসি রুমের ভিতরে আবার কেউ কাজ করে অত্যাধিক গরমে রুমাল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে।আবার কেউ জীবিকার জন্য বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়।কেউ থাকে বিল্ডিংয়ের ভিতরে আবার কেউ থাকে ছোট্ট ছনের ঘরে।কেউ করে উচ্চবিলাসী ভোজন ও আয়েশি জীবন আবার কিছু মানুষ আছে শুধু দুবেলা ভাত খাওয়ার জন্য নিরলসভাবে ছুটে চলে।
এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলোর অন্যতম উদাহরণ।বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলোতে দেখা যায় যাদের সম্পদ অনেক আছে তাদের শুধু আছেই।আর যারা নিম্নআয়ের মানুষ সম্পদ নেই, তাদের নেই বললেই চলে।আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে শ্রমিকদের মূল্যায়ন না করা।আমাদের বাংলাদেশের শ্রমিকদের সব সময় ঠকানো হয়, পর্যাপ্ত পরিমাণ কাজ করে কাজের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিকরা পায় না।যাইহোক বন্ধুরা বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলোর প্রতিটি পরিবারের কর্তাকে অনেক কষ্ট করে তার ও তার পরিবারের জীবন চালাতে হয় শুধু বেঁচে থাকার জন্য, শুধু দুবেলা পেট ভরে খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য।আমরা রাস্তায় বের হলেই আমাদের চোখ অনেক কিছু দেখতে পায়।আমাদের চোখ দেখতে পায় বেঁচে থাকার জন্য মানুষ কত কষ্ট করে কাজ করতেছে।দশটা টাকা আয়ের জন্য তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।তাদের এই কষ্ট শুধুই বেঁচে থাকার জন্য, পরিবার নিয়ে দুবেলা ভাত খাওয়ার জন্য।তারা উচ্চ বিলাসী জীবনযাপন আশা করতে পারে না।আমরা অনেক মানুষ আছে যারা এই দরিদ্র শ্রমিকদের মূল্যায়ন করতে শিখি নাই।তাদের কাজকে আমরা নিচু করে দেখি তারা সবসময় অবহেলার পাত্র।কিন্তু তারা তো চুরি করতেছে না, তারা ১০ টাকা আয়ের জন্য সকল লাজ-লজ্জা ভূলে কাজ করতেছে।তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের এই পরিশ্রম কে স্যালুট জানাই, তারাই সত্তিকারের শ্রমিক।আর আমি সমাজের উচ্চবিলাসী উচ্চ আয়ের মানুষ ও মালিকদের বলব আপনারা শ্রমিকদের ঠকাবেন না।আপনার একটি শিল্প কারখানা একটি শ্রমিকের দ্বারাই টিকে আছে, শ্রমিক কাজ না করলে আপনার শিল্পকারখানা কিন্তু চলবে না।তাদের কাজ অনুযায়ী তাদের মূল্য পরিশোধ করুন।
আর সকলেই আসুন আমরা সমাজের খেটে খাওয়া মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই, যারা বেঁচে থাকার জন্য শুধু দুবেলা ভাত খাওয়ার জন্য শুধু ১০ টাকা রোজগারের চিন্তা করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।আসুন তাদের সাথে আমরা যেকোন বিষয় ও ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে দর কষাকষি না করি।
ভাল থাকুন সবাই।আমি সমাজের খেটে খাওয়া মানুষদের প্রতি স্যালুট জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ।
Follow my twitter