স্মৃতির পাতায় ঘাটাঘাটি
আচ্ছা ছোট্টবেলার কথা মনে পরে। যখন একজন আরেকজনের টিয়া পাখি ধরে টানাটানি করতাম?
আইসক্রিম, ছোঁয়াছুঁয়ি, বৌছি, বুড়ি কিতকিত, বরফপানি, লুকোচুরি, তালাচাবি, দাড়িয়াকোট, কাদাঁ মাটি, এচিং বিচিং সহ আরো কত খেলা। এইসব ও কি ভূলে গেছেন? এই সব গুলোই এক একটা স্মৃতি।
মনে পরে প্রাইমারীর ছেলে আর মেয়েদের বিভিন্ন সব খেলা? হ্যাঙ্গলা-দুগলা আমাকে তো একবার পঞ্চম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় লম্বু স্বাস্থ্যবান ফাতেমা ধাক্কা মারে ফেলে দিয়েছিল। আহা আত্মসম্মানে লেগেছিল। শুধু আমার আত্মসম্মানে হাঘাত হেনে ছিল? না, আমার একার নয় ক্লাসের সব ছেলেদের। ক্লাসে টান টান উত্তেজনা ছিল। এর জের বেশ কয়েকদিন ছিল। তারপর থেকে স্কুলের মাঠ আগেই দখল করে আমরা খেলতাম ওদের কে আর খেলার জায়গা দিতাম না। জানি না অন্যদের এমন ঘটনা আছে কিনা।
এইসব এক একটা স্মৃতি। এমন হাজারো স্মৃতি আমাদের জীবনের ডায়েরিতে জমা হয়ে আছে। যতদিন বেঁচে থাকবো জমা হয়ে থাকবে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতি গুলোও বেশ তিক্ত হয়ে যাচ্ছে।
আমরা কেউ চাইলেউ ইরেজার দিয়ে স্মৃতির পাতা গুলো মুছে ফেলতে পারি না অথবা চাইলেও কেউ কি-বোর্ডের Ctrl + A দিয়ে সব কিছু সিলেক্ট করে Shift + Del বাটন প্রেস করে সব কিছু মুছে ফেলতে পারি না।
যদি bdcommunity পরিবারের কোন সদস্যকে জিজ্ঞেস করা যায় আপনার জীবনের সব থেকে সুন্দর সুখের সময় কোনটি তাহলে কেউ শৈশবের পুটু টানা টানি সেই দুরন্তপনাকে স্মৃতির পাতা থেকে ফেলে দিতে পারবে না।
সব কিছুই এখন স্মৃতি। এই পরিবারের সবাই এখন পরিপূর্ণ যুবক, যুবতী। সবার দেহে এখন যৌবনের উষ্ণ রক্ত টগবগ করছে। কেউ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সাংসারিক জীবন অতিবাহিত করছে, কেউ বা আমার মত অবিবাহিত হয়ে হবু বউয়ের কথা ভেবে ভেবে কত মেয়ের পিছনেই না ছুটছে। সত্যতা বান্ধবীদের ফেসবুক পোস্টের লাইক আর কমেন্টস সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায় 🤣😂
কেউ প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ভিত্তি মজবুত করছে কেউ বা আমার মত বেকার জীবন নিয়ে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
কেউ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে নিজের জীবনের স্বপ্ন গুলোকে বাক্স বন্দী করে শেষ পেরেক ঠুকে দিচ্ছে কেউ বা আমার মত দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দেশের নোংরা রাজনীতিতে টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই বাবা মা পরিবারের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে একজন ভালো সন্তান একজন ভালো ভাই অথবা বোন, একজন ভালো স্বামী অথবা বউ। আবার কেউ বা বাবা, মা, ভাই, বোনের স্বপ্ন পূরণের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে চলছে।
আমাদের অনেকেই জীবন সংগ্রামে সফল হয়ে অহংকারের চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছি। আবার আমাদের অনেকেই সব মায়া ফেলে রেখে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন। সেখানে নেই কোন অহংকার নেই কোন অলংকার আছে শুধু অন্ধকার।
আমরা অনেকেই সফল আবার অনেকেই ব্যর্থ এই ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যে। তবে দিন শেষে হিসেব নিকেশ করলে আমি একজন মাহাবুব, আমি একজন রক্তে মাংসে গড়া মানুষ তাছাড়া আর কিছুই না।
সব শেষে বলতে চাই আমরা সবাই কিছু করার কিছু গড়ার স্বপ্ন দেখি সেই স্বপ্ন যেন শুধুই নিজেকে ঘিরে না হয়। সেই স্বপ্ন গুলো যেন হয় পরিবারের জন্য, সেই স্বপ্ন গুলো যেন হয় মানুষের জন্য, সেই স্বপ্ন গুলো যেন হয় দেশের জন্য। তা নাহলে সেই স্বপ্ন আমার কাছে দুঃস্বপ্ন মনে হয়।
আমার কোন বিষয়টা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে জানেন ভাই। স্কুল থেকে এসেই জন্ম দিনের ড্রেস পড়ে পুকুরে দে ঝাপ।
লেখাটা জোস হয়েছে।
ভাই ঐ লেংটা কালের স্মৃতি গুলো ছিল সব থেকে মধুর। এর থেকে মধুর স্মৃতি আর হয় না।
ভাই শুভ সকাল
ছোটোবেলার যে খেলাগুলার কথা বললেন তা আসলেই একটা স্নিগ্ধ সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।খুব শান্ত, নির্মল ছিলো সময়টা।আপনার লেখা পড়তে বরাবরই ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ভাই, লিখাটা শেয়ার করবার জন্য
শুভ সকাল ভাই
সেই সময় গুলো কি কোন ভাবেই হাড়িয়ে দেওয়া যায়?
মাঝে মধ্যেই সেই স্মৃতি গুলো মনে করে মনের শান্তি খুঁজি। আর ভাবি এখনকার প্রজন্ম কি সেই শান্তিটা কখনো উপভোগ করতে পারবে?
তারা হয়তো সময়টা অন্যভাবে উপভোগ করে।তবে আমরা যেমন এতোদিন পরেও ব্যাপারগুলো ফিল করে ভালো লাগে তাদের ব্যাপারগুলো তাদের কাছেও ভালো লাগবে কিনা সেটাই কথা।তারাই ভালো বুঝবে হয়তো
আমার অভিজ্ঞতা বলে এক সময় তাদের এই প্রযুক্তি তাদেরকে এক ঘেয়েমী করে তুলবে। প্রযুক্তির উপর ভর করে তারা বড় হচ্ছে। একে অপরের সাথে মিলে মিশে থাকা একে অপরের বিপদে আপদে দাড়ানো এসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বন্ধুত্বের যে একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে সেটা থেকে তারা দূরে সরে যাচ্ছে। মোবাইল গেমস, মুভি, ফেসবুক এইসবের মধ্যেই তারা ডুবে যাচ্ছে। ভার্চুয়াল জগৎটা তাদের গ্রাস করে ফেলছে।
কথা সত্য ভাই। একটা বৃহৎ অর্থনৈতিক ব্যাবস্থার যাতাকলে আছি। দাসদের মতন চাইলেও ছুটতে পাড়ছি নাহ