রবিবারের রম্য: কুদ্দুস মিয়ার বিয়া || SundayFun

avatar

জ্বি, আজ রবিবার। গত তিন সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় আজকেও আপনাদের সামনে রম্য লেখা নিয়ে এসেছি। তবে আজকের রম্যগল্পটি একটি গদ্য ছড়া। অর্থাৎ পদ্যের অন্ত্যমিলে রম্য গল্প। আজকে একটু ভিন্নভাবে ট্রাই করেছি। ভালো-মন্দ আপনারাই বিচার করবেন।

images (21).jpeg

কুদ্দুস মিয়ার বিয়া


অবশেষে কুদ্দুস মিয়া
করতে এলো প্রথম বিয়া
শুনলো সে বিয়ের পরে
রাতেই হবে ফুলশয্যা!

কি লজ্জা! কি লজ্জা!!

রসিক এক বৃদ্ধা দাদী
বললো, এসব বিয়া সাদী
করার আগে দেইখা নিও-
ঠিক আছে তো কলকব্জা?

কি লজ্জা! কি লজ্জা!!

images (24).jpeg

যেই না বরের গাড়ি এলো
শ্যালিকারা দৌড়ে গেলো
মরিচ-গোলা শরবত খেয়ে
জ্বলে যাচ্ছে অস্থি মজ্জা।

কি লজ্জা! কি লজ্জা!!

কাজী বলল, কবুল বলো
তক্ষুনি পেটে চাপ পরলো
কুদ্দুসে কয়, আগে বলেন
কোনদিকে টয়লেটের দরজা?

কি লজ্জা! কি লজ্জা!!

কুদ্দুস মিয়া গেল ফেঁসে
দুষ্টু এক শ্যালক এসে
বাহির থেকে আটকে দিলো
টয়লেটের দরজার কব্জা।

কি লজ্জা! কি লজ্জা!!

অবশেষে বিয়ের পরে
কাঁপতে কাঁপতে বাসর ঘরে
কুদ্দুস মিয়া ঢুকেই দেখে
ঘোমটার নিচে রণ-সজ্জা!

কি লজ্জা! কি লজ্জা!!

images (23).jpeg

কেন তার টয়লেট পেল?
জবাব দিতেই রাত্রি গেল
বউয়েই উল্টো মারলো বিড়াল
আহা! সে কি ঝড়-ঝঞ্ঝা!

কি লজ্জা! কি লজ্জা!!

সেই থেকে তার বন্ধু-স্বজন
বিয়ের জন্য করিলে পন
কুদ্দুস মিয়া চেঁচিয়ে উঠে:
আর আগাস নে, অফ যা..
অফ যা..

কি লজ্জা! কি লজ্জা!!


আমি প্রতি রবিবার একটি করে রম্য গল্প লিখছি #bdcommunity - তে। এতে কুদ্দুস মিয়া চরিত্রটির বিভিন্ন হাস্যরসাত্মক কর্মকাণ্ডে বিনোদনের পাশাপাশি স্যাটায়ার হিসেবে সমাজের অনিয়ম তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য। সবগুলো লেখায় #sundayfun ট্যাগ ব্যবহার করছি, যাতে পাঠকগণ চাইলেই রম্যগল্পগুলি সহজে খুঁজে পান। এই প্রচেষ্টার আরেকটি গল্প আজ লিখলাম। নির্মল বিনোদনের জন্য আগের গল্পগুলোও চাইলে পড়তে পারেনঃ

কুদ্দুস মিয়ার ডায়াগনোসিস

ঘটক পশু ভাই

কুদ্দুস মিয়ার ব্যাংক একাউন্ট

20200627_034755.jpg


আত্মকথনঃ

poster_1593196763985_rd7uzi0du0.gif

আমি ত্বরিকুল ইসলাম। সখের বশে ব্লগিং করি। ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে আগ্রহী।



"পড়াশোনায় ইঞ্জিনিয়ার। পেশায় শিক্ষক। নেশায় লেখক। সাবেক ব্যাংকার। পছন্দ করি লিখতে, পড়তে, ভ্রমণ করতে এবং জমিয়ে আড্ডা দিতে।"


        জীবনটাকে অনেক অনেক ভালোবাসি


0
0
0.000
2 comments
avatar

লেখাটা অনেক মজাদার ছিল। :-)

0
0
0.000