Would be or maybe would be? The ending.....
মা ফিরবে আজ।খুশি হতে পারছিলাম না কেন যেন! ভাবছিলাম মা এলে হয়তো তূর্য ভাই চলে যাবেন।কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে মা ফিরে আমার আগে ওনার সাথেই যত আহ্লাদ দেখালেন।আমার হিংসে হলো খুব।তাহলে তো বিয়ের পর আমার কোনো পাত্তাই থাকবেনা।মা সবার সামনেই তূর্য ভাই কে জিগেস করলেন,
পটাতে পেরেছো আমার মেয়েকে?
তূর্য ভাই নিচের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন।
আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম মায়ের দিকে।বাবা এসে আমার মুখ বন্ধ করে দিলেন,
বাবা! তোমার কি আর কাজ নেই?
তোর নেই? যখন তখন শুধু হা করে যাস! তুই তো সবই জানিস! তাই সবার সামনেই তোর মা এ কথা বলল!
আমি চুপি চুপি বাবা কে বললাম
কিন্তু উনি তো জানেন না যে আমি জানি!
উনি? উনি টা কে?
বাবা চোখ গুলো সরু করে ভ্রু নাচিয়ে তাকালেন,ঠোঁটে দুষ্ট হাসি! আমি লজ্জা পেয়ে চলে এলাম।
বিকেলে হুলুস্থুল আয়োজন শুরু হলো।তূর্য ভাই এর পরিবার আমাকে নাকি দেখতে আসছে।
এহ! কি দরকার! কোথায় হলো ভালোবাসা? হলেও তো মনে মনেই।কই আমাকে তো কেউ কখনো বললো না ভালবাসে!
নিজে নিজে কথা গুলো বলছিলাম।রিন্তি পেছনে এসে লুকিয়ে সব কথা শুনে ফেলল! উচ্চস উচ্চস্বরে হাসলো ও। আমি আবারও লজ্জা পেলাম।আজকাল বার বার লজ্জা পেতে হচ্ছে আমার। সন্ধ্যায় তূর্য ভাই এর বাড়ির লোক এসে হাজির।সাজিয়ে গুছিয়ে রিন্তি আমাকে সবার সামনে হাজির করলো। আন্টি আমার দিকে তাকিয়েই রইলেন কতোক্ষন।
তারপর বললেন,
তূর্য টার কপালে দেখি সুন্দরি বউ জুটতে চলেছে!
বাবা হেসে বললেন,
এখনো জানিনা বেয়াইন, ওদের প্রেম কতটুকু আগালো! বিয়ে পর্যন্ত যাবে নাকি ব্রেকাপের পথে! কিছুই তো জানিনা।
সবাই হেসে উঠে কথা চলতে থাকে। আমাকে রিন্তি ছাদে নিয়ে যায়।তূর্য ভাই কে দেখি সেখানেই বসে আছে।আমার দিকে একটা বার ও তাকালো না। ওর ছোট ভাই আমাকে দেখে ভাবি বলে ডাক দিলো রিন্তি ওকে ইশারা দিয়ে নিয়ে গেলো। যেতে যেতে বললো,
আজ রাতে আমার হলুদ। তবুও বান্ধুবির জীবনের এতো ইম্পর্ট্যান্ট একটা মোমেন্ট এর পার্ট না হয়ে থাকতে পারিনি। আশা করি আমার জীবনের সবথেকে ইম্পর্ট্যান্ট মোমেন্ট টার পার্ট হতে তোমরা দুজনেই আসবে।
তূর্য হেসে বললো,
ভুলেও মিস হবেনা। আর কেউ না গেলেও আমি যাবো!
তারপর আমার দিকে একবার তাকিয়ে আবার চুপ মেরে গিয়ে নিচের দিকে তাকালো আবারও।
রিন্তি মৃদু হেসে চলে গেলো।
দশ মিনিট হয়ে গেলো প্রায়।বদ লোক টা বাচাল লোক টা সারাদিন এতো বকবক করে আর এখন! বোবা হয়ে গেছে একেবারে হুহ!
আমি উঠে চলে আসতে নিলাম তখনই তূর্য ভাই আমার হাত ধরে ফেলল।
আমি ওনার দিকে তাকালাম। বললেন,
তোমার দিক থেকে চোখ ফেরাতেই পারছিনা আজ!
ওহ এতোখন তো নিচ দিকে আপনার ভূত তাকিয়ে ছিলো!
আপনি আপনি করবে কতো আর? বিয়ে তো হলো বলে,
আমি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে অভিমানের সুরে বললাম,
আমি কখন বলেছি আপনাকে বিয়ে করবো? ভালোবাসা নাই মন দেয়া নেয়া নাই কিসের বিয়ে?
তূর্য ভাই মুচকি হেসে আবার আমার হাত ধরলেন।
আমি যা বলিনি তা তুমি জানো! আর তুমি যা বলনি আমিও তা জানি!
বাহ তাই নাকি! খুবই আধ্যাত্মিক ব্যাপার স্যাপার। ভালোবাসা বাসি মনে মনে তাহলে বিয়েটাও মনে মনেই করে নিন না!
তূর্য ভাই এবার সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন,
তোমাকে ৬ বছর ধরে প্রতিটি মুহূর্ত ভালোবেসেছি, আমার সম্পূর্ণ হায়াত জুড়ে আমি তোমাকেই ভালবাসবো! আমি তোমাকে টেম্পরারি চাইনি নাহলে কলেজ লাইফেই প্রেম এর প্রস্তাব টা দিতে পারতাম।
আমি তোমাকে সারা জীবনের জন্য চাই তাই তোমার জন্য এতোদিন বেঁচেছি। তোমার জন্যই বাকি টা জীবন বাঁচতে চাই। সাথে থাকবে আমার?
এবার বুঝি আমার লজ্জার সীমানা ছাড়িয়ে গেলো। চোখ ভরে এলো হঠাৎ।
'থাকবো'
বলেই তূর্যের বুকে মুখ লুকালাম।
দুজনে মিলেই আমরা রিন্তির বিয়েতে গেলাম। রিন্তি আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরলো।
ওর বিয়েটা দেখতে দেখতে আমি নিজের বিয়ে টাই কল্পনা করছিলাম। রিন্তির বিয়েতে ইঞ্জয় হলো খুব। আমি তূর্য কে বললাম
আমাকেও এমন ধুমধাম করে নিয়ে যেতে হবে নাহলে কিন্তু যাবোনা
যাও নিলাম না তোমায় মেয়ের কি অভাব? এক বিয়েতে এতো ধুমধাম আমার যে আরো ৩ টা বিয়ে বাকি?
রিন্তির বিয়েতেই আমার হাতে মার খেলো সে। ক্যামেরায় বন্দি হলো তা। দেখে হাসলাম খুব।
তূর্য গাল ফুলিয়ে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বসলো।আমি আবারও হাসলাম।এ হাসি পরম স্বস্তির । পরম সুখের।
Congratulations @troublemakerrr! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Do not miss the last post from @hivebuzz:
Hi @troublemakerrr, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @linco!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON